আগামী জাতীয় নির্বাচন মাথায় রেখে মাঠে ছুটছেন নেতারা। নিজেদের নির্বাচনি এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ রাজপথে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নিচ্ছেন নির্বাচনি প্রস্তুতি। প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রত্যেক দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় কর্মসূচি, গণসংযোগ, নানান আচার-অনুষ্ঠান কিংবা জনকল্যাণের নামে চষে বেড়াচ্ছেন নিজ এলাকা। ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। উঠান বৈঠক করছেন। দলীয় নেতা-কর্মীসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। এমনকি গত ১৫ বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কখনোই মাঠে ছিলেন না- তাঁরাও এখন ঘন ঘন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। EN মাঠে ছুটছেন নেতারা শফিউল আলম দোলন ও শফিকুল ইসলাম সোহাগ মাঠে ছুটছেন নেতারা আপডেট: ০০:১৬, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ google_news আগামী জাতীয় নির্বাচন মাথায় রেখে মাঠে ছুটছেন নেতারা। নিজেদের নির্বাচনি এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ রাজপথে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নিচ্ছেন নির্বাচনি প্রস্তুতি। প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রত্যেক দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় কর্মসূচি, গণসংযোগ, নানান আচার-অনুষ্ঠান কিংবা জনকল্যাণের নামে চষে বেড়াচ্ছেন নিজ এলাকা। ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। উঠান বৈঠক করছেন। দলীয় নেতা-কর্মীসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। এমনকি গত ১৫ বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কখনোই মাঠে ছিলেন না- তাঁরাও এখন ঘন ঘন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। এরই মধ্যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দল গোছাতে চায় বিএনপি। জেলা-উপজেলা কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। দেশের বেশির ভাগ নির্বাচনি এলাকা থেকেই এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নিচ্ছেন নির্বাচনি প্রস্তুতি। প্রতিটি এলাকায় গড়ে তিন থেকে চারজন করে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন নিজ নিজ এলাকায়। বিভিন্ন কৌশলে ও নানা রকমের জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে তাঁরা মূলত নির্বাচনি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে জনসংযোগ, জনস্বার্থে কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশনা, যে করেই হোক এলাকার জনগণের ভালোবাসা ও মন জয় করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় বিগত আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ ও ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’সহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক সংগঠনের মাধ্যমে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন রকমের সহযোগিতামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক দল হিসেবে নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি প্রস্তুতি সব সময়ই দলের থাকে এবং সে অনুযায়ীই এখন দলীয় নেতারা কাজ করছেন। এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচনের প্রস্তুতি সব সময়ই আমাদের ছিল এবং এখনো আছে। তাছাড়া বিগত ১৫ বছরের বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার আন্দোলনের মাধ্যমেই বিএনপির নির্বাচনি প্রস্তুতি আগেই চূড়ান্ত হয়ে আছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগিদ দিলেও বিএনপির প্রধান টার্গেট আগামীতে একটি অর্থবহ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চান- দলের নীতিনির্ধারকরা। তাঁদের মতে, দেশের জনগণের কাছে মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের। আর মানুষকে সেবা প্রদানের দায়িত্ব হলো নির্বাচিত সরকারের। নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটে যে-ই সরকার গঠন করুক না কেন- মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করাটাই বিএনপির টার্গেট। এ লক্ষ্যে সারা দেশে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা রকমের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি। দলীয় নেতা-কর্মীদের যে করেই হোক সাধারণ মানুষের মন জয় ও ভালোবাসা অর্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দলের হাইকমান্ড থেকে। নেওয়া হচ্ছে গণসংযোগ, সভা-সমাবেশসহ নানা রকমের ইতিবাচক সাংগঠনিক কর্মসূচির উদ্যোগ। ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে- দলের ভবিষ্যৎ করণীয়-প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা সংস্কারের বিষয়গুলো। জানা গেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের প্রতি জনকল্যাণমুখী